top of page

বাবার বকুনি থেকে বাঁচতেই ইউসুফ থেকে হয়েছিলেন দিলীপ



ডনবেঙ্গল : প্রয়াত 'ট্রাজিজি কিং' অভিনেতা দিলীপ কুমার। প্রায় ৬৫টি মুভি করেছিলেন তিনি। একজন অভিনেতা থেকে লেজেন্ড হয়ে ওঠার এই সফর কিন্তু মোটেই 'সুহানা' ছিলনা। ১৯২২ এর ১১ ডিসেম্বর পেশোয়ারে জন্ম। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন মুহাম্মদ ইউসুফ খান। কিন্তু মুম্বইয়ে পা রাখার পরই তাঁর নাম বদলে যায়। দিলীপ কুমার নামে তিনি পরিচিতি পান। তাঁর এই নাম বদলের কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ।

দিলীপ কুমারের মোট ১২ জন ভাইবোন। তাঁর শৈশব অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। অভিনেতার বাবা একটা সময় পরিবার নিয়ে পেশোয়ার থেকে মুম্বই চলে এসেছিলেন। মুম্বই আসার পরেই পরিবার আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ে। পরিবারে সমস্যার কারণে দিলীপ কুমার পুণে চলে যান। ইংরেজিটা জানতেন।লিখতেনও খুব ভালো। ফলে তিনি পুনেতে ব্রিটিশ আর্মি ক্যান্টিনে সহকারী হিসাবে চাকরি শুরু করেন। দিলীপ কুমার ক্যান্টিনে পারিশ্রমিক হিসাবে পেতেন ৩৬ টাকা।

সেখানে একই সময়ে, তিনি তাঁর নিজস্ব স্যান্ডউইচ কাউন্টার খোলেন।


ব্রিটিশ সৈন্যদের কাছে ওই কাউন্টার খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে এই ক্যান্টিনে একদিন তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়। কারণ ভারতের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। এরপর তাঁর কাজও বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফিরে আসেন ফের মুম্বইয়ে। সেখানে আসার পরে তিনি তাঁর বাবার কাজে সহায়তা করতে শুরু করেন। একটা সময় বালিশ বিক্রিও শুরু করেন যা অবশ্য সাফল্য পায়নি।


কাজের প্রয়োজনে বন্ধুরা দিলীপকে 'বোম্বাই টকিজ'এর মালিক দেবিকা রানির সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যান। এই সময়ে, যখন দেবিকা রানী দিলীপ কুমারের সৌন্দর্য দেখে অবাক হয়ে যান। এরপরই তিনি দিলীপকে ফিল্মের প্রস্তাব দেন। তবে দিলীপ কুমারের বাবা ছবিতে কাজ করা মোটেই পছন্দ করতেন না। তাই বাবার ভয়ে তিনি মুহাম্মদ ইউসুফ খান থেকে নাম পরিবর্তন করে দিলীপ কুমার নাম রাখেন।নিজের আত্মজীবনিতে এই বিষয়ে তিনি লিখেছিলেন। পরে অবশ্য দিলীপ কুমারের বাবা মেনে নিয়েছিলেন ছেলের পছন্দকে।

bottom of page