top of page

করোনাতে টালমাটাল শিক্ষাব্যবস্থা, স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল হু-এর


ফাইলচিত্র।


ডনবেঙ্গল ডেস্ক : খুদেদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এবার স্কুল খোলার পক্ষে সায় দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সৌম্যা স্বামীনাথন। যেহেতু করোনা আবহ চলছে, তাই স্কুল খুললে বেশ কিছু নিয়ম বিধি মানতে হবে। ওই বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে একথার কোনও ভিত্তি নেই।


এম এস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন একটি টুইট করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, স্কুল বন্ধের জেরে ইতিমধ্যেই স্কুল ছুটের সংখ্যা ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেসামাল অবস্থা শিক্ষাব্যবস্থার। সেই টুইটকে রি-টুইট করেছেন স্বামীনাথন। তিনি বলেন, "স্কুলের সব শিক্ষক,কর্মীর টিকাকরণ হয়ে গেলে শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে, মাস্কিং, হাত ধোয়া প্রভৃতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলার কথা ভাবা যেতে পারে। শুধু বদ্ধঘরে জমায়েত প্রার্থনা বা কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না।"


উল্লেখ্য গত মার্চ থেকে ভারতের সব স্কুল কলেজ প্রায় বন্ধ। ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। এর ফলে শিশুদের সার্বিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। সামাজিক সুস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে। সম্প্রতি এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল শিক্ষা বিষয়ক সংসদের স্থায়ী কমিটি। স্কুলে গিয়ে পড়াশুনো আর অনলাইনে পড়াশোনার মধ্যে ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রকে এমনটাই জানিয়ে একটি রিপোর্ট দেয় কমিটি।


গতমাসে আইসিএমআর এর ডিজি বলরাম ভার্গব ও দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়াও যাবতীয় কোভিড শর্ত মেনে স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। এই মাস অথবা পরের মাসের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেশকিছু রাজ্যের 'আর ভ্যালু'। এর মধ্যেও ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল স্কুল খোলার কথা ভাবছে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে।

bottom of page