লরি বদলে গেল দোতালা রেঁস্তোরায়
- dbwebdesk
- Jun 4, 2021
- 1 min read

এ যেন ঠিক সুকুমার রায়ের হযবরল......ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল। ছিল আস্ত একটা লরি, আর হয়ে গেল রেস্টুরেন্ট। তবে এ রেস্টুরেন্টে রয়েছে চলতে চলতে খাওয়া দাওয়ার সুবিধা। তবে শুধু খাওয়া-দাওয়া কেন, চলন্ত অবস্থায় হচ্ছে রান্নাও। এমনই অভিনব ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাহাড়হাটির বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল। নাম দিয়েছেন 'ইন্দো কন্টি রেস্তরাঁ'।
একটি লরিকে ডেকরেশন করে বানিয়ে ফেলেছেন চলমান দোতলা রেস্টুরেন্ট। সেটির ছাদে রয়েছে ৫০ জন একসঙ্গে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। নীচের তলায় কিচেন। রয়েছে ছোট 'লিফ্ট'ও। খাবার তৈরির পর সেটির মাধ্যমে দোতলায় পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। অভিনব এই রেস্টুরেন্ট ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে এলাকায়। পথচলতি অনেকেই এই ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলছেন। এটি রাস্তায় চলার সময় হাইড্রোলিকের মাধ্যমে উপরিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু কেন এই অভিনব পরিকল্পনা ? পার্থবাবুর কথায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ চলছে। হোটেল থেকে রেস্তরাঁ সবই তালাবন্ধ। কিন্তু এই ভ্রাম্যমাণ রেস্তরাঁর মাধ্যমে চলছে হোম ডেলিভারি। একইসঙ্গে খাবার তুলে দিচ্ছেন অসহায় পথচারীদের মুখেও।
রবিবার থেকে পথ চলা শুরু হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের। মেমারি স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্যান্য এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে খাবার তুলে দিচ্ছেন পার্থবাবু। তবে অপেক্ষায় আছেন কবে ডাক আসবে বিয়েবাড়ি বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানে ৫০ জনের থাকার অনুমতি রয়েছে। তাই প্যান্ডেলের ঝক্কি না করে সহজেই এই ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্টে মুশকিল আসান হবে।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে ২০১৩ সালে ভিন রাজ্যে চাকরি শুরু করেন পার্থবাবু। ২০১৫ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর দুবাইয়ে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গতবছর করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউয়ে কাজ হারান তিনি। ফিরে আসেন বাড়িতে। তারপরই এই অভিনব পরিকল্পনা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, সরকারি নিয়ম বিধি মেনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিষেবা দিতে সক্ষম এই ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্ট।
সঠিক পরিকল্পনাতেই রয়েছে সাফল্যের চাবিকাঠি পার্থর এই অভিনব রেস্টুরেন্ট তারই প্রমাণ দেয়।





Comments