top of page

রামমন্দির নির্মাণের পাহাড় প্রমাণ চাঁদা দিতে ব্যর্থতার জের ?


ফাইল চিত্র :


ডনবেঙ্গল ডেস্ক : গড়ে উঠছে রাম মন্দির। চলছে চাঁদা সংগ্রহের কাজ। চাঁদা মানে, নামেই চাঁদা। যে যা পারেন কিংবা ১০/২০ টাকা চাঁদা নয়। ডোনেশন নেওয়া হচ্ছে এ বছর ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে আরএসএস চালিত এডুকেশন ট্রাস্ট সমর্থ শিক্ষা সমিতি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সব স্কুলকে ওই টাকা চাঁদা দিতে বলেছিল। প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আলাদা করে ১৫ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে পারেননি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু কেন এই শাস্তি ? চাঁদা দিতে না পারার জন্য কি তাঁর কাজের জগতে এই খাড়া নেমে এল ? কেন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হলো তার কারণ রবিবার জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। স্কুল পরিচালন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিচারপতি কমলেশ্বর রাও নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের ডিরেক্টর অফ এডুকেশনকেও।


এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি বসিয়েছে স্কুল। বিষয়টি কীভাবে প্রকাশ্যে আসে ? সম্প্রতি এর বিচার চেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লেখার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। তার পিটিশন থেকেই স্কুল পিছু ওই বিপুল ডোনেশন দাবির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সঙ্ঘ বা ওই ট্রাস্টের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রিট পিটিশনে শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবকদের থেকে চাঁদা আদায় চলছে। পাশাপাশি বাজারে ঘুরে ঘুরেও চাঁদা আদায়ের চাপ দেওয়া হচ্ছে।


সমর্পণ নিধি ফান্ডে কেন তিনি টাকা দিলেন না তার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, ২০১৬-য় তার স্বামীর বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। সংসারে টানাটানি। তবুও কোনও ক্রমে ২১০০ টাকা চাঁদা দিয়েছিলেন ফান্ডে। তিনি জানিয়েছিলেন, এর থেকে বেশি চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, এরপরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন সঙ্ঘ পরিচালিত ওই স্কুল কমিটি। প্রথমদিকে চুপ করে থাকলেও পরে মুখ খোলেন ওই শিক্ষিকা।

bottom of page