top of page

'নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলাম' বিস্ফোরক মন্তব্য নুসরতের



'নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলাম'। স্বামী নিখিল জৈন সম্পর্কে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান।


কিছুদিন ধরেই জোর গুঞ্জন চলছিল নিখিল ও নুসরতের বৈবাহিক সম্পর্ককে নিয়ে। অতি সম্প্রতি জানা যায়, সাংসদ অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী ? আর এরপরই এদিন তাঁর বিস্ফোরক বিবৃতি। তুরস্কে বিয়ে সম্পর্কে নুসরত বলেন, ''তুরস্কের বিবাহ আইন অনুযায়ী এটা অবৈধ। হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনও হয়নি। ফলে এটা আইনত সিদ্ধ নয়। নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলাম। এটা বিয়েই নয়। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।'' এমনকী অভিনেত্রীর সমস্ত গয়না, জামাকাপড়ও নিখিলের কাছেই রয়েছে বলে দাবি নুসরতের।


বসিরহাটের সাংসদ এই দাবি করলে, হবে কী ! লোকসভার ওয়েবসাইট বলছে অন্য কথা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদের যে তালিকা তাতে নুসরতের নামে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে যাবতীয় তথ্য। সেখানে স্পষ্ট লেখা নুসরত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন। স্বামীর নাম নিখিল জৈন। তুরস্কের বোদরুমে জাঁকজমক করে বিয়ে করেছিলেন নুসরত জাহান ও নিখিল জৈন। কলকাতার আইটিসি হোটেলে বসেছিল তাঁদের রিসেপশন পার্টি। এমনকী সাংসদ হওয়ার পর শপথ নেওয়ার সময়ও নিজের নাম নুসরত জাহান রুহি জৈন বলেছিলেন অভিনেত্রী। সুরুচি সংঘের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একসঙ্গে আরতিও করেন তাঁরা। ইস্কনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেন নুসরত জামাই নিয়ে এসেছে। এতকিছুর পর এই মন্তব্যে তোলপাড় টলিপাড়া।


তাহলে সাংসদ একজন যিনি জনপ্রতিনিধি, তিনি এমন দাবি করছেন কেন ? সংসদকে বিবাহিত হিসাবেই বা পরিচয় দিলেন কেন ? কারণ নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ওয়েবসাইটে পরিচয় দেওয়া হয়। তবে এসব বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলতেই চাননি নিখিল জৈন। নিখিলের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, জৈনের ফোর্ড গাড়ি এখনও ব্যবহার করছেন নুসরত। এমনকী নুসরত এখন যে ফ্ল্যাটে থাকেন, তাতে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিখিল। নুসরতের বোনের বিদেশে পড়াশোনার যাবতীয় স্পনসর করছিলেন নিখিল, তবে নিখিলের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, নুসরত তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি নেন।

bottom of page