top of page

প্রকৃতি আর জ্বালানির জ্বালাতে 'ইলিশের দেখা নাই'


ree

ডনবেঙ্গল : ভরা বর্ষার মরশুম। অথচ বাঙালির পাতে সেভাবে ইলিশ পড়ছে কই ! মৎস্যজীবীরা বলছেন, একদিকে খারাপ প্রকৃতি অন্যদিকে তেমনি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। এই দুয়ের ধাক্কায় খাদ্যপ্রেমি বাঙালির গেরস্তে এখন ইলিশের জোগানে ভাটা।


একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তার ওপর জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। চড়া দামে তেল পুড়িয়ে বারবার ট্রলার নিয়ে সমুদ্রের যাওয়া মানে লোকসান। কারণ খারাপ আবহাওয়া হলেই ট্রলার ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। অনেকে তাই সমুদ্রে ট্রলার নামাতে চাইছেন না। অনেকে আবার ইলিশের আশায় সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের পাশে নোঙর করেছে। ইলিশ না উঠলেও লটে কিংবা ঢেলার মত মাছ উঠছে বটে। তবে তাতে লাভ কোথায় ? মালিকরা বলছেন, সমুদ্রে একবার ট্রলার পাঠাতে লাখ দেড়েক টাকা খরচ হয়। এর পরও যদি ইলিশ না ওঠে তাতে লোকসান হবে বৈকি ! তারপরে আবার অনেক ট্রলারের জাল উত্তাল সমুদ্রে ছিড়ে গিয়েছে। সদ্য ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের একাংশের বক্তব্য, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে ইলিশের দেখা পাওয়া মুশকিল।


ইলিশ প্রজননের লক্ষ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘাটগুলিতে ৩ হাজার ট্রলার ইলিশ ধরতে পাড়ি দেয়। কিন্তু মরশুমের শুরুতেই অমাবস্যা ও পূর্ণিমা কোটালের সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে ট্রলারগুলোকে ফিরে আসতে হয়। ট্রলার মালিকদের বক্তব্য, এতে ট্রলার ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়। একজন মালিকের অনেক ট্রলার থাকলেও আর্থিক লোকসানের জন্য একটি করে ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাঠাচ্ছেন। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামিদিন কী ভাবে ট্রলার পাঠানো যাবে, তা ভাবাচ্ছে ট্রলারমালিক ও মৎস্যজীবীদের।

 
 
 

Comments


bottom of page