top of page

উর্দু শিক্ষক বাদ ! সরকারি নীতির তীব্র সমালোচনা এলাহাবাদ হাইকোর্টের


এলাহাবাদ হাইকোর্ট । ফাইল চিত্র।


ডনবেঙ্গল ডেস্ক : অমুসলিম এলাকায় উর্দু ভাষা পড়ানো হবে কিনা তাই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের সঙ্গে কোনও ভাষাকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে দেওয়া যেতে পারে না এবং ভাষা হিসাবে উর্দু পড়ানো যেতে পারে তেমন এলাকাতেও যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম। সরকার-পোষিত এক স্কুলের উর্দুর শিক্ষক সানোয়ার একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র ভাষা ও ধর্মকে পৃথক করে দেখার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ওই উর্দু শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এই বলে যে, কোনও এলাকায় মুসলিম জনসংখ্যা ২০ শতাংশের নিচে থাকলে সেখানে উর্দু শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকারের নীতিই তাই।


আদালতের মতে, রাজ্য সরকারের এমন নীতি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রাথমিক নীতিরই পরিপন্থী। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি ধর্মনিরপক্ষ দেশে এই ধরনের নীতিই নেওয়া যায় না প্রথমত এবং মুসলিম জনসংখ্যা কম বলে একজন উর্দু শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়েও দেওয়া যায় না। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে ১৬ আগস্ট। মুসলিমদের সার্বিকভাবে কোণঠাসা করতে সরকার এই ধরনের নীতি প্রণয়ন করেছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের পাশাপাশি ভাষা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে বলে একাংশের অভিমত।

bottom of page