top of page

বৈচিত্রপূর্ণ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন


ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন । ছবি।


ডনবেঙ্গল ডেস্ক : তেরোই জানুয়ারি দুইহাজার আঠারো সাল l হুইসেল বাজিয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন l ৬৫ জনের টিম হৈ-হুল্লোড় করে মাতিয়ে রেখেছে পুরো ট্রেনের বগি l পাঁচ দিনের সুন্দরবন ট্যুরে আমাকে স্পেশাল গেস্ট করা হয়েছে l তিন ঘন্টা লেট করে ট্রেন ছাড়লেও সিটে বসে ভুলে গেলাম দীর্ঘ অপেক্ষার কষ্ট l ট্রেন ছুটে চলেছে রাত্রি বাড়ছে l এক বগিতেই আমরা Sami Direct Bangladesh এর সকল সদস্য l অনেকেই এসেছেন নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলা হতে l সিট নির্বাচন করতে সময় লাগলে আমরা যে যার মতো বসে পড়লাম l কমলাপুর থেকেই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল l সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্ষুদা নিবারণে l ঘুমের চেষ্টা করেও কোথাও নিদ্রা দেবীর দেখা পাওয়া গেলো না l মাহমুদ একটু পরপরই হারিয়ে যাচ্ছিলো বন্ধুদের ভীড়ে l


আমাদের ট্যুর পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে চেনা পরিচয়ের সুযোগ হয়নি, সুতরাং মাহমুদকে ডেকে বললাম গানের ব্যবস্থা করো l সবাই যেন সুরের মূর্ছনায় মশগুল থাকতে পারি l যাত্রা পথের সময়টাও কেটে যাবে l পুরুষরা গান শুরু করলো, বেসুরে গান শুনে আমরা হেসে কুটি কুটি হয়ে যাই l গলা থেকে যেন সুর বের হতে চায় না l আমার বর সবার অতি প্রিয় (মাহমুদ ভাই) প্রতিপক্ষ নির্বাচন করলো l প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরী হলে সবার মধ্যে যেন গানের নেশা ধরানো যায়, এমন একটা পর্যায় আসলো গানের মোহ থেকে কেউ যেন আর বের হতে পারছেনা l রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতও অতি মাত্রায় বেড়ে যায় l শীতবস্ত্রেও যেন শীত মানতে নারাজ l এমনি করেই করেই কেটে গেলো রাত্রি l এমনি করেই কেটে গেলো রাত্রি l সকাল দশটায় আমাদের যাত্রা শেষ হলো খুলনা ট্রেন ষ্টেশনে l শিপ এ উঠেই যে যার যার কেবিন ঠিক করে, ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাইনিং এর উদ্দেশ্যে নিচে নামি l লুচি, ডিম আর সবজি দিয়ে নাস্তা শেষ করি l শিপের ম্যানেজমেন্ট আল-আমিন ভাই জানিয়ে দেয়, আর ৪/৫ ঘন্টা পর হতে আপনারা আর মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না l সুতরাং, যার যার প্রয়োজনীয় কল আছে সেরে নিতে পারেন l


আমাদের শিপ সর্বপ্রথম করমজল এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো l ভৈরব নদ হয়ে শিপ রূপসা নদী হয়ে পশুর নদী দিয়ে করমজল এর উদ্দেশ্যে যেতে থাকে l আমি ঘুরে ফিরে দেখতে থাকি l তারপর স্নান সেরে ঘুমের বন্দোবস্ত করলাম l নতুন জায়গায় ঘুম আসার কথা নয়, কিন্তু সারারাত জাগরণের ফলে ঘুম যেন আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো l ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম খাবারের জন্য l মেনুতে আছে আলুভর্তা, মুরগির মাংস আর ডাল l


শিপ এ যাত্রা শেষ হলো, আমাদের বাকি পথ যেতে হবে ট্রলারের মাধ্যমে, সবাই ট্রলারে উঠে পড়লাম l পাঁচ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম করমজল l ট্রলার হতে নেমেই মিছিলের মতো আমরা হাঁটা শুরু করলাম l প্রথমেই দেখা হয়ে গেলো আদি মানুষ মানে বন্য বানরের সাথে l প্রতিনিয়ত ওরা মানুষ দেখে এতটাই অভ্যস্ত যে মানুষকে ওরা আর পাত্তাই দেয় না, বরং খাবারের অপেক্ষায় পথ গুণে l


করমজল সুন্দরবনের একটা অংশ, পুরোটাই বন, আর সেই বনটিকে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে একটি রাউন্ড কাঠের সেতু, আমরা হাঁটতে লাগলাম সম্মিলিত ভাবে, কে জানে কোথায় ঘাপটি মেরে আছে আমাদের বিপদ l সবাই যে যার মতো সেলফি তুলতে লাগলাম, সুন্দরবনের এত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আমাদের দুঃসহ জীবনের গ্লানি কিছুদিনের জন্য সরিয়ে আমাদের জীবনে আনন্দ উল্লাসের বন্যা বয়ে দিচ্ছিলো l



আমরা করমজলে দেখেছি উদ্ভিদ বৈচিত্রের এক অপরূপ উদ্ভিদ "সুন্দরী" গাছ l করমজলে হাঁটতে হাঁটতে পরিচিত হয়েছি গেওয়া, গরান, কেওড়া ও গোলপাতার সাথে l


করমজল থেকে আমরা শ্যালা নদী হয়ে কটকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই, প্রচন্ড কুয়াশায় আমাদের শিপ চলতে পারছিলো না l ধীরগতিতে বিকেল পাঁচটা হতে রাত তিনটা পর্যন্ত চলে আমরা কটকা পৌঁছাই l মাহমুদ ভেবেছিলো শ্যালা নদীতে মাছ ধরবে কিন্তু কোম্পানির ট্রেনিং থাকায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় l


গাইড আমাদের রাতেই জানিয়ে দেয় সকাল ছয়টার আমরা কটকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো l হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায়, উঠে দেখি ভোর চারটা বাজে l আর ঘুম আসেনা, পাশে মাহমুদ ঘুমায় l আমি করিডোরে দাঁড়িয়ে নদী ও কুয়াশা ঘেরা প্রকৃতির দৃশ্য অবলোকন করতে থাকি l অসাধারণ সেই দৃশ্য l শহরের ধুলোবালি মানুষকে প্রকৃতি হতে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে l শহরে জীবনে আমরা সকলে ছুটে চলেছি মরীচিকার পেছনে l



ছয়টা বাজতেই হৈ-হুল্লোড় শুরু হয়ে গেলো, হুইসেল বাজাতে লাগলো গাইডরা l এবার আমাদের বের হবার পালা l আমরা সকলে সকাল ছয়টার মধ্যে কটকা অভয়ারণ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই l শামসুদ্দিন টুটুল মামা সবার উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিলেন, হৈচৈ না করলে আমরা হরিণ দেখতে পাবো, আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বাঘ দেখবো l সমুদ্রের তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্র কটকা অভয়ারণ্যে দল বেঁধে চলা হরিণের পাল দেখার জন্য সেরা জায়গা এই সেই কটকা l আর যেখানেই খাবার সেখানেই খাদক l অর্থাৎ হরিণ শিকারের লোভে বসে থাকে বাঘ, তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলেই মিলবে বাঘের দেখা l


খুলনা শহর থেকে ১৫০ এবং মংলা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কটকা l এখানে বেড়াতে যাবার প্রধান মাধ্যম বলতে গেলে শুধুই শিপ l পর্যটকদের নিয়ে এই শিপ নোঙ্গর করা হয় কটকা খালে l কটকা বনবিভাগ কার্যালয়ের পেছন দিক হতে পঁয়ষট্টি জন চলতে লাগলাম, কিছুদূর যেতেই কেওড়া গাছের নিচে দেখতে পেলাম চিত্রা হরিণের পাল l সকালের স্নিগ্ধ কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে আল-আমিন ভাই কেওড়া গাছের পাতা ছিড়ে দিচ্ছেন আর হরিণের পাল উদর পূর্তি করতে থাকে l আমরা হরিণ পালের সাথে ছবি আর ভিডিও চিত্র ধারণে ব্যস্ত রইলাম l


আমরা যেন বাস্তবতা পেরিয়ে ছুটে চলছি কোন কল্পনার রাজ্যে l হাঁটতে হাঁটতে আমাদের সামনে পড়ে গেলো বয়ার খাল, এই খালের পাশে ভাটার সময় ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদের শ্বাসমূল চোখে পরে l শ্বাসমূলের কারণে হাঁটার সময় বেশ অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়েছে l বনের দক্ষিণে কিছুক্ষন হাঁটলে চোখে পড়ে পরপর তিনটি টাইগার টিলা l এ টিলায় প্রায়ই নাকি বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায় l টাইগার টিলা হতে সামান্য পশ্চিমে বয়ার খাল l খালের দুই পাশ কেওড়া, গোলপাতা আর নানান পাখপাখালির কলকাকলিতে মুখরিত l কটকা অভয়ারণ্য হতে শিপ ফিরে এলাম দশ মিনিটের জন্য তারপর আবার ট্রলারে করে কটকা সী-বিচ এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম l সুন্দরবনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কটকা l


ট্রলার হতে নেমে কিছুদূর যেতেই চল্লিশ ফুট উঁচু একটি ওয়াচ টাওয়ার এর দেখা মিললো, যেখান হতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় l পথের কোন শেষ নেই, কিন্তু, দলবদ্ধভাবে হাঁটার কারণে কখন যে সী-বিচে পৌঁছে গেলাম বুঝতেই পারিনি l সাগরের কাছে এসে আমাদের কষ্ট লাঘব হলো l ভেবেছিলাম পথিমধ্যে বাঘ দেখতে পাবো, কিন্তু, বাঘের ছানাও দেখতে পাইনি l তবে বাঘ না দেখলেও, বাঘের পায়ের ছাপ ঠিকই দেখতে পেয়েছি l আমরা পৌঁছানোর কিছুক্ষন আগেই হয়তো একটি দলছুট হরিণকে বালুর মধ্যে থেকে টেনে নিয়ে গেছে বনের মধ্যে, যার দাগ আমরা ঠিকই দেখতে পেয়েছি l বালুর উষ্ণতা শেষে সাগরের নোনা জলে পা ভেজাই l দলছুট হয়ে সাগর কন্যার সাথে কাটাই কিছু মুহূর্ত l


সী-বিচের ধার ঘেঁষে জাহাজ চলতে থাকে কুঙ্গ নদের মোহনার উদ্দেশ্যে l সারাদিন চলবে জাহাজ, সন্ধ্যা সময় হয়তো পৌছাবো দুবলার চর l এমনটাই জানিয়েছিলেন আল-আমিন ভাই, আমাদের রিলাক্স ট্যুরিজম এর গাইড l সময় মতো পৌঁছালে একটি মনোরম সূর্যাস্ত দেখতে পাবো l


ভাসমান শিপে অলস সময় কাটাতে ভালো লাগছিলো না বলে দোতলায় যাই l সেখানে হাফসার সাথে দেখা মিলে, যে পেন্সিল স্কেচ করে চলেছে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্যাবলী l আঁকার ফাঁকে ফাঁকে দুজন মিলে গল্পে মশগুল হই দীর্ঘক্ষণ l সময়ের ব্যবধানে হয়তো একদিন ভুলে যাবো অনেক কিছুই কিন্তু স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে ভালোলাগাময় মুহূর্তগুলো l সাগরের নোনা জলে মিশে গেছে আমার সকল স্মৃতির ভান্ডার, মনে হয় কিছুদিনের জন্য অতিথি পাখি হয়ে এসেছিলাম, আবার ফিরে যেতে হবে বিমুগ্ধ স্মৃতি বয়ে নিজ বাসভূমে l


শ্যালা নদ পেরিয়ে আমাদের শিপ সাগর দিয়ে চলতে চলতে কুঙ্গ নদ ও সাগরের মোহনায় এসে থামে l দুবলারচর সুন্দরবনের (বাংলাদেশ অংশের) দক্ষিণ অংশে এবং কটকার দক্ষিণ -পশ্চিমে l হিরণ পয়েন্ট থেকে এর অবস্থান দক্ষিণ -পূর্বে l এটি একটি দ্বীপ যা 'চর' নামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে পুণ্যস্থান হিসেবে পরিচিত l এখানে প্রতিবছর রাসমেলা উদযাপিত হয়, এছাড়াও হরিনের জন্য এলাকাটি পরিচিত l দুবলারচর কুঙ্গ ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর l


আমরা সময়ের অল্প কিছু ব্যবধানের জন্য অসাধারণ সূর্যাস্ত দেখতে পাইনি l তারপরও আকাশে সূর্যের হালকা কিছু রশ্নি যেন লেগে আছে l ট্রলার থেকে নামতেই শুঁটকির গন্ধ অস্বস্থি লাগছিলো l আমাদের দলটি হাঁটতে লাগলো সাগরের তীর ধরে l আমরা হাঁটতে হাঁটতে শুঁটকি বাজারের কাছে চলে আসি, কেউ কেউ শুঁটকি কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে l লোক মুখে জানতে পারি প্রতি বছর বাংলা কার্তিক মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাসমেলা এবং পুণ্যস্থানের দুবলারচর বিখ্যাত, আরও জানা যায় ৯২৩খিষ্টাব্দে হরিচাঁদ ঠাকুরের এক বনবাসী ভক্ত যার নাম হরিভজন সেই এই মেলা চালু করেন l জনশ্রুতি আছে ২০০বছর ধরে এই রাসমেলা হয়ে আসছে l প্রতি বছর অসংখ্য পুণ্যার্থী রাসপূর্ণিমাকে উপলক্ষকরে সমুদ্রস্নান করতে আসেন এবং সূর্যোদয় দেখে ভক্তরা সাগরের জলে ফল ভাসিয়ে দেয় l


লোক মুখে আরও জানা যায়, দুবলার চর মূলত জেলে পল্লী, মাছ ধরার সাথে চলে শুঁটকি শুকানোর কাজ l বর্ষা মৌসুমে ইলিশ শিকারের পর বহু জেলে চার মাসের জন্য কক্সবাজার, চট্টগাম, বাগেরহাট, পিরোজপুর_ খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে ডেরা বেঁধে সাময়িক বসতি তৈরী হয় এসব অঞ্চলে l মেহের আলীর খাল, আলোরকোল, মাঝেরচর, অফিসকেলা, নারিকেল বাড়িয়া, মানিকখালী, ছাফরাখালী ও শ্যালাচর ইত্যাদি এলাকায় জেলে পল্লী গড়ে উঠে l এই চার মাস তারা শুঁটকি বানাতে ব্যস্ত থাকেন l এখান হতে আহরিত শুঁটকি চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের পাইকারি বাজারে মজুদ ও বিক্রয় করা হয় l


কুঙ্গ নদ ও সাগরের মোহনার ডান পাশে দুবলারচর, বাম পাশে হিরণ পয়েন্ট(নীলকমল) এটি সুন্দরবনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত l মংলা হতে প্রায় ৮০ কিলোমিলার দূরে l এই স্পটে আমরা সারারাত মোহনায় অবস্থান করলাম l সকাল সাতটায় আমরা হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই l হিরণ পয়েন্টে ঘরবাড়ি আর গাছপালা ছাড়া দেখার মতো কিছুই নজরে এলো না l পরে রিলাক্স ট্যুরিজম এর শামসুদ্দিন টুটুল মামার কাছ হতে জানতে পারি, হিরণ পয়েন্টে শেষ বিকেল থেকেই বাঘের আনাগোনা দেখা যায় l


সবুজ মনোরম দৃশ্যের ঘোর যেন কাটেই নাহ ! চিরাচরিত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে বহুদূর চলে এসেছি কোন এক স্বপ্নের বিভোরতায় l



হঠাৎ একটি হরিণ শাবককে দেখতে দেখতে চোখ চলে যায়, এক পাল হরিণের দিকে l সিপসা নদী, তিনকোনা দ্বীপ, মনোরম হরিণের পাল, এ যেন এক মায়াময় বিভ্রমের জগৎ l নিস্তরঙ্গ শান্ত জলরাশিতে বিলি কেটে মৃদু শব্দে রাজহংসের মতো বয়ে চলে আমাদের শিপ l ফিরে যাবো অত্যান্ত সাধারণ চিরাচরিত জীবনের নিয়মাবলীতে l বেদনায় বিভোর হয়ে উঠে মন l শিপে চলতে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খাওয়া - দাওয়া, পিঠা উৎসব l


সিপসা নদী পার হয়ে শিপ চলতে থাকে পারুর নদী অতিক্রম করে l প্রকৃতির টান রয়ে যায় মনে, জীবনের তাগিদে ফিরে আসতে হয়, কিন্তু মন সায় দেয় না l তারপরও ফিরে যেতে হয়, তেমনি ফিরে যাবো যার যার গন্তব্যে l শুধু রয়ে যাবে বুকের গভীরে আনন্দময় কিছু স্মৃতি l


লেখক : সারা ফেরদৌস ।

bottom of page